কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে জলদস্যুদের গোলাগুলি, পুলিশসহ আহত ৭

কুমিল্লায় ডিবি ও থানা পুলিশের সঙ্গে জলদস্যুদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিবির ওসিসহ ৫ পুলিশ ও ২ ডাকাত সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গোমতী নদীর নন্দনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযানে অংশ নেয়া কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম যুগান্তরকে জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ দাউদকান্দিতে গোমতী নদী কেন্দ্রীক জলদস্যুদের একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। ডাকাতরা নৌপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী জাহাজ, লঞ্চ ছাড়াও বালু ও মাটি পরিবহন করা বড় নৌকা ও ট্রলারের চালক ও যাত্রীদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি, হামলা, মালামাল লুটসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল।

তিনি আরও বলেন, ডাকাতদের আটক করতে গিয়ে এর আগে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ডাকাতদের সঙ্গে ডিবি ও পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার গোমতী নদীর দাউদকান্দি উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় ১০/১২ জনের সশস্ত্র ডাকাত দলের অবস্থানের খবর পেয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি ও থানা পুলিশের ৪টি টিম ডাকাতদের ঘিরে ফেলে। এতে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় ডিবি ও থানা পুলিশ আত্মরক্ষায় ৪৪ রাউন্ড গুলি চালায়।

এসআই শাহ কামাল জানান, ডাকাতদের আক্রমনে ডিবির ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা, ডিবির পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন, এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম, এসআই সহিদুল ইসলাম পিপিএম এবং কনস্টেবল মো: কামাল উদ্দিন আহত হয়।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি ১ নলা বন্দুক, ১টি দেশীয় তৈরি এলজিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ২ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বাজরা গ্রাামের রাজু মিয়ার পুত্র মহসিন (৩৭) এবং একই গ্রামের জলিল মিয়ার পুত্র (২৩) মো: রিপন।

আটককৃত ডাকাতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো: মিজানুর রহমান যুগান্তরকে জানান, এ ঘটনায় থানায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।