কুমিল্লায় ফল বিপর্যয়: ২০১ অধ্যক্ষকে চিঠি

এবারের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. জামাল নাছেরকে আহ্বায়ক এবং উপকলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চমাধ্যমিক) মো. হাবিবুর রহমানকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

মো. জামাল নাছের বলেন, এরই মধ্যে কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। কুমিল্লা বোর্ডে গড় পাসের হারের চেয়ে কম পাস করেছে, এমন ২০১টি কলেজের অধ্যক্ষকে ফল বিপর্যয়ের কারণ, ব্যাখ্যা ও ভবিষ্যতে ভালো করার সুপারিশ জানাতে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির জবাব পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি পর্যালোচনা করবে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত ছয় জেলার ৩৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৩৭২ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৪৯ হাজার ৭০৪ জন। পাসের হার ৪৯ দশমিক ৫২। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭৮ জন পরীক্ষার্থী; যা দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম।

গত রোববার কুমিল্লা বোর্ডের ফল ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘কুমিল্লায় কেন ফল বিপর্যয়? সব বোর্ডের মধ্যে একটি বোর্ডের ফলাফল খারাপ, কেন তা হয়েছে আমি জানি না। ওই এলাকা (কুমিল্লা) থেকে এত বড় বড় অফিসার আসে। কুমিল্লায় এই দুরবস্থা কেন?’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর সব মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার ঢাকা থেকে ফিরে কার্যালয়ে আসেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল খালেক। পরে তিনি বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

চেয়ারম্যান মো. আবদুল খালেক বলেন, ‘নকলমুক্ত পরিবেশে কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা হয়েছে। খাতা মূল্যায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়েছে। খারাপ করা ২০১টি কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছি। তাঁদের কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাঁদের ডেকে এনে বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষার গুণগতমান নিয়ে সেমিনার ও আলোচনা সভা হবে।’