কুরবানি আদায়ের বিধান ও ফজিলত বর্ণনায় বিশ্বনবি

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একবার সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, কুরবানি কি? কুরবানি কি আমাদের শরিয়তের বিধান? এবং এ কুরবানি আদায়ে কোনো সাওয়াব আছে কিনা?

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সাবাহায়ে কেরামের এ সব প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত যায়েদ ইবনে আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরাম একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই কুরবানি কি?

জবাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এটা তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম)-এর সুন্নাত (রীতিনীতি)।

তাঁকে আবারো জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এতে আমাদের কি (পূণ্য রয়েছে)?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, ‘(কুরবানির জন্তুর) প্রতিটি লোমের পরিবর্তে নেকি রয়েছে।’

তাঁরা আবারো জিজ্ঞাসা করলেন, পশম বিশিষ্ট পশুর বেলায় কি হবে? (পশুরতো পশম অনেক বেশি)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, পশমওয়ালা পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তেও একটি করে নেকি রয়েছে। (মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, কুরবানির ফজিলত ও সাওয়াব অনেক বেশি। আর এটা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সুন্নাত হওয়ার কারণেই প্রিয়নবি নিজে তা পালন করেছেন। যে কারণে তা উম্মতে মুহাম্মাদির সামর্থবানদের জন্য আদায় করা আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে উল্লেখিত সাওয়াব লাভে যথাযথ নিয়মে কুরবানি আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।