কূটনীতিকদের নিয়ে বিএনপির গোপন বৈঠক

বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বুধবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈঠক চলে।

গণমাধ্যমকে আড়ালে রেখে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ইতোমধ্যেই নানা কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা, এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবদীন, ব্যারিস্টার নওশর জামিল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।

বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে ডেনমার্ক, নরওয়ে, মালদ্বীপ, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, চীন, ভারত, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মরক্কোসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকটি গোপনীয়ভাবে করায় এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সূত্র মতে, বৈঠকে প্রধান বিচারপতি ও রোহিঙ্গা ইস্যু, চলমান রাজনীতি এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে প্রধান বিচারপতির হঠাৎ ছুটির বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়।

বৈঠকের সত্যতা স্বীকার করে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা বলেন, চিফ জাস্টিসের রিমুভালের ওপর কূটনীতিকদের সঙ্গে আমাদের ব্রিফিং ছিল। উনাকে (প্রধান বিচারপতি) জোর করে ছুটিতে পাঠানো হলো এ বিষয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করেছি।

বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কাছে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই যে দেশে ক্রাইসিস চলছে প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে, সেপারেসন অব জুডিশিয়ারি নিয়ে। একটা রায়কে কেন্দ্র করে এমন ক্রাইসিস, বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে সরকারের ডিফেন্ড (রক্ষা) করার কথা কিন্তু সরকারই বিচার বিভাগকে আক্রমণ করছে। দেশে তো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলে আর কিছু থাকল না।