কেন এইচটুও রেস্টুরেন্টের নাম বলেছিলেন অনন্যা?

শেষ হয়ে গেল মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮ এর গ্র্যান্ড ফিনালের। এবারের আসরে মুকুট জয় করে নিলেন পিরোজপুরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।

তবে ঐশীকে ছাপিয়ে ভিন্ন কারণে আলোচনার শীর্ষে আসরের সেরা দশ প্রতিযোগীদের একজন সুমনা নাথ অনন্যা। তাকে বিচারক খালেদ হোসেন সুজন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এইচটুও মানে কি?’

জবাবে সুমনা প্রথমে জানেন না বলে জবাব দেন। পরে এক পর্যায়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি জানেন ‌‌‌‘এইচটুও’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট আছে ধানমন্ডিতে’। ব্যস, এই জবাবটিকে হাস্যকর বলে গ্রহণ করেছে ওই অনুষ্ঠানের দর্শক। রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় ‘এইচটুও’ শব্দটি।

এই ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছেন অনন্যা। তিনি বলেন, ‘আমাকে যখন বিচারক প্রশ্ন করলেন ‘এইচটুও মানে কি’ তখন আমি বেশ নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। এমন একটা মঞ্চে দাড়িয়ে নার্ভাসনেস ফিল করাটাই স্বাভাবিক। সুজন স্যার যদি বলতেন ‘এইচটুও কিসের সংকেত’ তবে তা আমি নির্দ্বিধায় বলে দিতাম এটা পানির সংকেত। কারণ সেটা আমি পারতাম। প্রশ্নটা শুনে আমার বারবারই মনে হচ্ছিলো বিচারক আমাকে হয়তো একটু অন্যভাবে ফান করে প্রশ্নটি করেছেন।

তাই আমি জবাবটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না কীভাবে দেবো। পরে সুজন স্যার যখন বললেন, এইচটুও মানে পানি। তখন আমার কাছে মনে হয়েছিলো এইচটুও নামে তো একটা রেস্টুরেন্টও আছে। সেটা আমি উনার সঙ্গে শেয়ার করি। ব্যস! কিন্তু বিষয়টাকে সবাই এভাবে নেবে তা কখনো ভাবিনি। আমাদের দেশে নেগেটিভ বিষয়গুলো খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।’

অনন্যা বলেন, ‘একজনকে কীভাবে ট্রল করে, নেগেটিভলি ভাইরাল করে বিব্রত করা হয়, ছোট করা সেটা এতদিন কেবল দেখেছি। এখন নিজেও সেটার শিকার হলাম। লোকজন আমার তখনকার মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেননি। তারা একটা মেয়েকে অপদস্ত করার সুযোগ পেয়েছেন, সেটাই করে যাচ্ছেন। তবে অনেকেই আমাকে সাহস দিয়েছেন। একটা সমাজে সবরকম মানুষই থাকেন। এটা নিয়ে আমার কোনো দুঃখবোধ নেই।

নিজেকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, তাই এখানে যোগ দিয়েছিলাম। নিজেকে আমি অনেক সমৃদ্ধ করেছি এই আসরে যোগ দিয়ে। এটি আমার জীবন ও ভাগ্যকে নতুন করে গড়ে দিয়েছে।’