কেন ৬২ মাইল হাঁটবেন এই নারী

নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে ৬২ মাইল পথ হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লি ওয়েনজু নামে এক চীনা নারী। লি ওয়েনজু স্বামী ওয়াং কুয়ানঝ্যাং পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি পুলিশী নির্যাতনের বেশ কিছু মামলা দেখছিলেন।

লি ওয়েনজু জানান, তিন বছরেরও বেশি সময় আগে তার স্বামীকে তিয়ানজিন শহর থেকে আটক করে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। তার পর তাকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছে তিনি জানেন না। শুধু তাই নয়, লি এও জানে না আদৌ তার স্বামী বেঁচে আছে কিনা।

লি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে জানান, তিনি শুধু এতটুকু জানতে চান আসলে তার স্বামীর ভাগ্যে কি ঘটেছে। সে কি আদৌ বেঁচে আছে?

লি ওয়েনজুর স্বামীকে তিন বছরের আগে তিয়ানজিন শহরের যে স্থান থেকে আটক করা হয়েছিল তিনি বেইজিং থেকে সেই শহরের অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন লি ওয়েনজু। অবশ্য স্বামীর খবর পেতে এ যাত্রায় তার হাঁটতে হবে অন্তত একশ কিলোমিটার বা ৬২ মাইল।

তবে এই পদযাত্রায় লী তার সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন আরো একজন নারীকে যার স্বামীও একজন অধিকার কর্মী এবং তাকেও কারাদণ্ড দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে লি ওয়েনজু বলেন, ‘তারা (কর্তৃপক্ষ) আমাদের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। একজন নিরাপরাধ মানুষকে এভাবে আটক করা এবং তিন বছরের বেশি সময় বন্দি রাখা- আমি মনে করি এটি একটি নিষ্ঠুর ও নির্দয় ঘটনা।’

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১২ দিনের পদযাত্রা করেছি, এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ তৈরি চায়, যাতে জানতে পারি আমার স্বামী কেমন আছে কোথায় আছে। লি’র ধারণা, তার স্বামীকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

লি ওয়েনজু জানান, ২০১৫ সালে দেশব্যাপী পরিচালিত এক অভিযানের সময় তার স্বামী ওয়াং কুয়ানঝ্যাংসহ আরো অন্তত দুশো অধিকার কর্মীর সঙ্গে আটক হন।

ওই অভিযানটি পরিচিত হয়ে উঠেছিল ‘৭০৯’ অভিযান হিসেবে। কারণ জুলাইয়ের নয় তারিখে সেটি শুরু হয়েছিল।

এমনকি ওই অভিযানে যাদের আটক করা হয়েছিল তাদের অনেককেই বড় অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিল চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।