কে হচ্ছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী?

কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে থেরেসা মে পদত্যাগ করায় তার প্রধানমন্ত্রীর পদও চলে যাবে। উত্তরসূরি ঠিক হওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকার কথা তার।

দুই সপ্তাহ আগেই মে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই থেকে দেশটির সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে বৈশ্বিক রাজনীতিতে শুরু হয় আলোচনা।

ব্রিটেনের কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ঘেঁটে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মোট ১১ জন এমপি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

এর মধ্যে বোরিস জনসন এগিয়ে আছেন। মে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে থেকেই তিনি আলোচনায়। তার সঙ্গে কমপক্ষে ৪২ জন এমপির সমর্থন রয়েছে।

এরপর এগিয়ে রয়েছেন মাইকেল গোভ। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী তার পক্ষে রয়েছেন ২৮ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জেরেমি হান্ট। তার সমর্থক সংখ্যা আনুমানিক ২৬। আলোচনায় আছেন ডোমিনিক রাব (২২), সাজিদ জাভিদ (১৬), ম্যাট হানকোক (১২)।

তুলনামূলক পিছিয়ে রয়েছেন মার্ক হারপার। তার সমর্থক ৬ জন এমপি। ররি স্টুয়ার্ট এবং এস্টার ম্যাকভির সঙ্গে আছেন ৫ জন করে। স্যাম গিমাহ এবং অ্যান্ড্রে লিডসমের সমর্থক এমপি যথাক্রমে ৪ এবং ২ জন।

এমপিরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্য গোপন ভোট দেবেন।

এভাবে বাছাইয়ে বাদ দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত যখন দুইজন থাকবেন তখন দলের সব সদস্য ভোট দিয়ে তাদের একজনকে বেছে নেবেন। আগামী ২২ জুলাই বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণার কথা রয়েছে।

‘ব্রিটেন এক্সিট’কে সংক্ষেপে বলা হয় ব্রেক্সিট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া এটি। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ একে অন্যের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারে এবং সেখানে বসবাস করতে পারে।

প্রায় ৪০ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পর ২০১৬ সালের জুনে একটি গণভোট আয়োজন করে যুক্তরাজ্য। অধিকাংশ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দেন। কিন্তু কয়েক বছর যেতেই মানুষের মত আবার পাল্টাতে থাকে। ছাড়া না ছাড়া নিয়ে শুরু হয় ধোঁয়াশা।

২০১৯ সালের ২৯ মার্চ দুই পক্ষের আলাদা হওয়ার কথা ছিল। নানা বিতর্কের পর সেটি পিছিয়ে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলে যায়। পরে সেটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পিছিয়েছে।

বিচ্ছেদের বিষয়ে থেরেসা মে সব সময় অনড় ছিলেন। কারো কথাই তিনি পাত্তা দেননি। নিজ দলের অনেক সাংসদ তার নেতৃত্বের বিরোধিতা করেন। তাকে সরাতে চলে তোড়জোড়। আবার গণভোটেরও দাবি ওঠে। শেষ পর্যন্ত এই পরিস্থিতে মে সরেই গেলেন।