কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ, শনিবার সমাবেশ

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ তা প্রত্যাখ্যান করে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার শাহাবাগ দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি) পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিলের প্রস্তাব বুধবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান অবশ্য বলেছিলেন, জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজপথ দখল করে তারা আন্দোলন করবেন না। এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করে আজ সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তারা সরে গিয়ে জাতীয় জাদুঘরের আশেপাশে থাকবেন।

তবে দুপুর ১২টা পর্যন্তও তাদের শাহবাড় মোড় ছাড়ার কথা শোনা যায়নি।

এরইমধ্যে আবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, তাদের লাগাতার অবস্থান চলবে। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ থেকে সড়বো না।

একই সঙ্গে দাবি আদায়ে শনিবার মহাসমাবেশের ঘোষণাও দেন তিনি।

উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়। কমিটি নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করে। সেই প্রস্তাবটিই গতকাল অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

পরে গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোটা থাকলেই শুধু আন্দোলন। তাই কোটার দরকার নেই। কোটা না থাকলে আন্দোলন নেই, সংস্কারও নেই। তিনি বলেন, যদি কেউ কোটা চায়, তাহলে এখন কোটা চাই বলে আন্দোলন করতে হবে। সেই আন্দোলন যদি ভালোভাবে করতে পারে, তখন ভেবেচিন্তে দেখা হবে কী করা যায়? এরপর যদি কেউ কোনো কোটা চায়, তাহলে তাকে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন ছাড়া কোটা দেয়া হবে না।