কোটা বাতিলের কথা কেন বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী : রিজভী

শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে সেদিন জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী কেন কোটা বাতিলের কথা বলেছিলেন তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না ঘোষণা দেয়ার তিন মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জানান, হাইকোর্টের রায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা সম্ভব নয়।

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ছাত্রদের তুমুল আন্দোলনের মুখে তখন কোটা বাতিলের কথা কেন বলেছিলেন? তখন তো হাইকোর্টের রায় ছিল। তখন তার মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মনে হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শেখ হাসিনার দরদ ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভী বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে যে কোনো ঘোষণা মানেই সেটি আইনের সমতুল্য এবং তা কার্যকর হতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায়নি তারা কোট সংস্কার চেয়েছিল।

‘প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যে এটি এখন সুস্পষ্ট, তিনি ছাত্র আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতেই সেদিন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, সেদিন আমরা বলেছিলাম- কোটা বাতিলের ঘোষণা একটি ধাপ্পাবাজি। আন্দোলনে ছাত্র নেতাদের ধোঁকা দেয়ার জন্যই দিনেদুপুরে প্রধানমন্ত্রী ম্যাকিভ্যালির চাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছিলেন।

রিজভী বলেন, ঈদের পর আবারও ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেন দমনপীড়নের নিষ্ঠুর পথ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি, রাম দা আর বাঁশের লাঠিসহ ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর।

‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা রাশেদকে দিনের পর দিন রিমান্ডের নামে তাকে থেঁতলে দেয়া হচ্ছে। তার অত্যাচারের বিভীষিকার কাহিনি শুনলে কোনো মানুষই চোখের পানি আটকে রাখতে পারবে না। তার মায়ের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে,’ যোগ করেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে ‘৭১-এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বীরবিক্রমের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দিয়ে হামলা করাতেন না। এ হামলা পরিকল্পিত, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা করা হয়েছে দাবি করেন রিজভী।