কোমরের বেল্ট দিয়ে সাংবাদিক পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

কোমরের বেল্ট খুলে সাংবাদিককে বেধড়ক পেটালেন কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ৩নং ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক। শুক্রবার সকাল ১১টায় রাজারহাট বাজারের কফি হাউজ মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃষ্ণ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান খুবই খারাপ কাজ করেছেন। এই ঘটনার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সে সুস্থ হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে আমরা তা অবশ্যই দেখব।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের মেকুরটারী গ্রামের মো. আউয়াল হোসেনের ছেলে সাংবাদিক আল্লামা ইকবাল অনিকের সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. এনামুল হকের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায় চেয়ারম্যান তার কোমরের বেল্ট দিয়ে সাংবাদিক অনিককে বেধড়ক পেটায়। এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে অনিককে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে রাজারহাট থানার ওসি ঘটনাস্থলে এসে আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে অনিকের বাবা ঠাট্টা করে আমার কাছে গম বীজ চায়। তাই আমিও তার বাবার সাথে ঠাট্টা করি। আজ সকালে আমি কফি হাউজে গেলে তার ছেলে অনিক আমার সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরই এক পর্যায় আমি ধাঁক্কা দিলে; দেয়ালে লেগে তার মাথায় গুরুতর আহত হয়।’

অনিকের বাবা আউয়াল হোসেন বলেন, ‘আমি গত রাতে গম বীজ চাইলে চেয়ারম্যান বলেন আপনার ছেলেকে টাকা দিয়েছি, সেখান থেকে গম বীজ কিনে নেন। আজ সকালে ছেলেকে ঘটনাটি জানাই। পরে সে এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান তাকে পিটিয়েছেন।’

এদিকে সাংবাদিক অনিকের উপর হামলায় ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব বলেন, ‘আমরা হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি। না হলে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, অনিক ঢাকার ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা শেষে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি বাংলা.রিপোর্টের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন।