ক্রিকেটারদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর হচ্ছে বিসিবি

বাংলাদেশের মানুষের গৌরবের নাম ক্রিকেট। এই ক্রিকেটই বহু মতাদর্শের মানুষকে এক প্ল্যাটফর্মে এনেছে। তাই ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখে চলেছে লাল সবুজের দেশের মানুষ। এদেশের মানুষ ক্রিকেটারদের নিয়ে গর্ব করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অর্থ আর খ্যাতির ভাড়ে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। শাহাদাত, রুবেল, সানী ও সাব্বিরের পর সর্বশেষ সেই তালিকায় যোগ দিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ শহীদ। বিভিন্ন মহলের তরফে অবিভাবক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এ বিষয়ে সজাগ হওয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছিল। অবশেষে টনক নড়েছে সংস্থাটির।

ক্রিকেটারদের এমন কর্মকাণ্ডে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এমন আভাসই দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, ‘শুধু একজন ভালো খেলোয়াড় হলেই চলবে না, ভালো মানুষও হতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের নিয়ন্ত্রণ করার। আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর হয়েছি। সমস্যা হচ্ছে যখন খেলা থাকে না, এখান থেকে চলে যাচ্ছে, তখন ওদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ধরতে পারছি না। তবে যে ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে, আমাদের নজরে আছে। আমরা কেউ এগুলো মানতে পারছি না।’

এ সময় খেলোয়াড়দের সতর্ক করে দিয়ে পাপন বলেন, ‘এর আগে যত ঘটনা ঘটেছে, আমরা সাপোর্ট দূরে থাক, উল্টো ব্যবস্থা নিয়েছি। খেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। এখনো তাই হবে। আমরা চাই, সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাক। যদি না হয়, ভবিষ্যতে এমনটা ঘটলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বিসিবি।

শুরুটা হয়েছিল রুবেল হোসেনের নারী কেলেঙ্কারি দিয়ে। এরপর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পেসার আল-আমিনকে দেশে ফেরত পাঠানো। এরপর পরই শাহাদাত হোসেন রাজিবের বাসায় শিশু পরিচারিকার ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে নাকাটতেই আরেক ঘটনার জন্ম দেন সাব্বির রহমান। তাকে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানা করা হয়। সবশেষ আলোচনায় মোহাম্মদ শহীদ। গত রোববার (৯ জুলাই) সকালে দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে মুন্সীগঞ্জের বাড়ি থেকে সরাসরি মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে হাজির হন ফারজানা আক্তার। তারপর স্বামী ক্রিকেটার মোহাম্মদ শহীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।