ক্রোধে উন্মত্ত হাতিকে বশে আনার মন্ত্র (ভিডিও)

বিশাল এক হাতি, আফ্রিকান হাতি। রাগে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে সে। ধেয়ে আসছে এ মানুষের দিকে। এমন একটা হাতি গোটা এক গ্রাম তছনছ করে দিতে পারে। মৃত্যু ঘটতে পারে অসংখ্য। যার দিকে ধেয়ে আসছে তিনি শিকারী নন। ওই হাতিটাকে মারার কোনো পরিকল্পনা নেই। হাতে চিকন একটা লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে অসম সাহসী। ক্রোধে পাগল হয়ে ধেয়ে আসা হাতির দিকে তাকিয়ে আছেন, চুপচাপ। দৌড়ে পালানোর কোনো লক্ষণও দেখা গেলো তা তার মাঝে। কারণ তিনি জানেন, ওই হাতিটা তার কিছুই করতে পারবে না!

হাতিটি ধেয়ে আসছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তির কাছাকাছি আসার পর হঠাৎ থেমে গেলো। যেন কোনো অদৃশ্য দেয়ালে ধাক্কা খেলো সে। কিংবা মত পরিবর্তন করে ঠাণ্ডা মেজাজের হয়ে গেলো। কিন্তু কেন এমন আচরণ তার?

আফ্রিকার একটি সাফারির গাইড অ্যালান ম্যাকস্মিথ। তিনি দেখাতে চাইছিলেন, কীভাবে অতি শান্ত আচরণ রাগে উন্মত্ত বন্য প্রাণীদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

এক ভিডিও-তে গোটা ঘটনা দেখানো হয়েছে। এখানে এও বোঝা গেছে, হাতিরা কতটা স্মার্ট হয়। তাদের আচরণও অনেক জটিল। নইলে রাগ ঝারার আগেই কেবল মানুষটির আচরণে দেখে সে নিজেকেও সামালে নিলো চোখের পলকে।

কোনো ধরনের স্পর্শ ছাড়াই অ্যালান হাতিটিকে বশে এনে ফেললেন। তাকে বসিয়ে দিলেন। তিনি কেবল দাঁড়িয়েই ছিলেন। তৎপরতা নেই বললেই চলে।

এমনটা আসলে হাসি, গণ্ডার বা জলহস্তির মতো বিশাল আকৃতির স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে ঘটে। তারা ভয় বা মানসিক চাপের মতো আবেগ বুঝতে পারে এবং সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। অন্যান্য প্রাণীদের চেয়েও এসব বিশাল বপুর স্তন্যপায়ীদের মধ্যে এগুলো বেশি কাজ করে। তারা যখন কোনো উত্তেজনাহীন এবং ধীরস্থির শক্তি অনুভব করে, তখন তারাও ধীরস্থির হয়ে যায়।

মানুষ অন্যান্য প্রাণীদের সঙ্গে কতটা গভীরে যোগাযোগ ঘটাতে পারে, এটি তারই উদাহরণ।

POWER of MiND 🔥

Posted by Samir Kumar on Wednesday, January 17, 2018