ক্লাসরুমে শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের অসামাজিক কাজ

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উত্তর নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলের ক্লাস রুমে মধ্যে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থল পরির্দশন করে এলাকাবাসীর বক্তব্য গ্রহণ করেন।

স্থানীয়রা জানান, ৮ মে দুপুরে উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের উত্তর নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপতি মোহন রায় একজন সহ-শিক্ষিকাকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তারা একটি ক্লাস রুমে দরজা বন্ধ করে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হলে লোকজন দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে গণস্বাক্ষর করে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ দেন স্থানীয়রা।

রামপাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার আমিসহ রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর বক্তব্য শুনেছি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকাকে জরুরি ভিত্তিতে বদলির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে।

রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ভূপতি মোহন রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। পাশাপাশি অভিযুক্ত অপর সহকারী শিক্ষিকা দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।