ক্লিনটনের উচিত ছিল আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া : মনিকা লিউনস্কি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন তার সাবেক প্রেমিকা মনিকা লিউনস্কি। বলেছেন-ক্লিনটনের উচিত ছিল তার কাছে ক্ষমা চাওয়া।

দ্য ক্লিনটন অ্যাফেয়ার্স নামে একটি ডকুমেন্টারিতে এসব কথা বলেন এক সময়কার আলোচিত এ নারী। ভ্যানিটি ফেয়ার ডকুমেন্টারিটি প্রকাশ করে।

এতে বিল ক্লিনটনের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন লিউনস্কি। বারবার বলেছেন, যদি কখনও হিলারি ক্লিনটনের মুখোমুখি হন তা হলে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবেন।

এর আগে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্য হিলারি ক্লিনটন ও চেলসি বিল ক্লিনটনের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন লিউনস্কি।

তবে বিল ক্লিনটনকে নিয়ে একটি কথাও কখনও বলেননি। এই প্রথম বিল ক্লিনটনকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

লিউনস্কির ভাষ্য-প্রকাশ্যে নিজের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্য ক্ষমা চেয়েছিল ক্লিনটন। কিন্তু আমার পরিস্থিতির জন্য একটি কথাও বলেননি। বিলের উচিত ছিল আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া।

লিউনস্কির কথায়-হোয়াইট হাউসে বিল ক্লিনটনের সঙ্গে কাটানো তার রোমাঞ্চকর সময়ের কথা উঠে আসে। তিনি বলেন, স্বপ্নে সপ্তম স্বর্গে বাস করছিলাম তখন। এভাবে যে স্বপ্নভঙ্গ হবে তা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারিনি। মাত্র ২০ বছর বয়স ছিল আমার।

বিলকে আমি ভীষণ ভালোবাসতাম। তাই সম্পর্কটা প্রকাশ্যে আসার পর যেভাবে সেটিকে নিয়ে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে, সেটি আমার হৃদয়কে খান খান করে দিয়েছিল।

বিলকে যখন অভিশংসনের মুখে পড়তে হয়েছিল, তখন কেবল নিজেকেই এর জন্য মনেপ্রাণে দায়ী করেছিলাম। বাড়ির জানালার কাচ দিয়ে তাকিয়ে থাকতাম। আর প্রতিমুহূর্তে মনে হতো নিজেকে শেষ করে দিই।

কিন্তু বিল সে তো একটি বারের জন্যও আমার কথা ভাবেনি। যে তীব্র রোষের মুখে সেই সময় আমাকে পড়তে হয়েছিল, সেটি একবারও ভেবে দেখেনি।

মনিকার অভিযোগ, ক্ষমতার অলিন্দে থাকা বিল ক্লিনটন অনায়াসেই বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন সেই পরিস্থিতি থেকে।

ক্ষমতা, প্রভাব তাকে অনেক সহজ করে দিয়েছিল সমাজের কাছে। কিন্তু মনিকা তলিয়ে গিয়েছিলেন অন্ধকারে।

একটি সম্পর্কের জন্য প্রায় সারাজীবনই অন্ধকারে আর অনুশোচনায় কাটাতে হয়েছে তাকে। গোটা দেশ তাকেই দায়ী করত। অথচ এই সম্পর্কে সমান অংশীদার ছিলেন বিল ক্লিনটনও।

আজ ৪৫ বছর বয়সে এসে সেই ঘটনা নিয়ে অকপটে কথা বললেন তিনি।

প্রায় ২৫ বছর সময় লেগেছে সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে। মনিকার দাবি, দেশবাসী সেই ঘটনার শুধু একটি দিকই দেখেছেন ও শুনেছেন। তার কথা কেউ শুনতে চাননি।

তিনি বলেন, বলা ভালো-শুনতে চাওয়া হয়নি অথবা বলতে দেয়া হয়নি। এত বছর পর লিউনস্কি তখনকার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তার লেখনীতে। সূত্র: এনডিটিভি।