খদ্দের না থাকলে স্বামীই সঙ্গী!

টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া যৌনপল্লী। দেশের ১৪টি যৌন পাড়ার মধ্যে এটি অন্যতম। এ পল্লীটিতে মোট কক্ষ সংখ্যা ৮০০টি। যেখানে কাজ করেন প্রায় ৯ শতাধিক যৌনকর্মী। এদের মধ্যেই একজন ১৭ বছর বয়সী হাসি।

এই পল্লীতে থাকা যৌনকর্মীদের প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন খদ্দেরের সঙ্গে যৌনমিলন করতে হয়। চলুন দেখে নেয়া যাক, পল্লীতে কেমন কাটে তার জীবন।

হাসি যেখানে থাকেন, ওই কক্ষে রাতে থাকেন স্বামীও। যে রাতে খদ্দের থাকেনা, সেদিনই স্বামী হন হাসির রাতের সঙ্গী!

এই পল্লীর অনেকেই আছেন, যাদের হাসির মতো একজন স্বামী কিংবা প্রেমিক রয়েছে। তারা পল্লীর বাইরে বসবাস করলেও মাঝে মাঝে এসে যৌনমিলন কিংবা টাকা নিয়ে যান বিনিময়ে তাদের নিরাপত্তা দেন।

পল্লীর কর্মীদের মধ্যে রয়েছে ওরাডিক্সন জাতীয় সিরাপ। যা সেবনের ফলে খদ্দর গ্রহণের প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য মোটা করা যায়। নিজেকে স্বাস্থ্যবান রাখা গেলে খদ্দেরের নজরে যাওয়া যায় বলে এই সিরাপ সেবন তাদের নিত্যদিনের চাহিদার বিষয়।

এখানে কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই যে কেউ এটি কিনতে নিতে পারেন। ক্ষতিকর হলেও ওরাডিক্সন খেয়েও বেশি আয় করতে পারেন যৌনকর্মীরা।

এখানে খদ্দেররা মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়েও যৌন মিলন করতে পারেন। পল্লীতে এমন একজনের সঙ্গে খুনসুটি করছেন হাসি।