খালাফ হত্যা মামলার পুনঃশুনানি পেছাল

সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের পুনঃশুনানি পিছিয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার শুনানির নির্ধারিত দিনে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ নতুন এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

আদালতে আজ আসামি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিকদার মকবুল হক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের পক্ষে দুই সপ্তাহ সময় আবেদন করেন সাবেক বিচারপতি শিকদার মকবুল হক। ওই আবেদন শুনানিতে আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে ১০ অক্টোবর এই মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করা হয়। পরে শুনানির জন্য ১৭ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতাই আজ মামলাটি তালিকায় আসার পর আগামী ৩১ অক্টোবর পুনরায় শুনানির জন্য দিন ধার্য হলো।

২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির মধ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেন। রায়ে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। মো. আলআমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সেলিম চৌধুরীকে খালাস দেয়া হয়।

এদের মধ্যে সেলিম চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। তার আগে ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচারট্রাইব্যুনাল-৪ এক রায়ে ওই ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজ বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর গুলশান থানা পুলিশ এ ঘটনায় মামলা করে। ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। তার আগে সেলিম ছাড়া অপর চার আসামিকে গ্রেফতার করেপুলিশ।