খালেদাকে সরকার সহজে মুক্ত হতে দেবে না : জয়নুল আবেদীন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার সহজেই মুক্ত হতে দেবে না বলে মন্ত্রব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এটা সরকারের দূরভিসন্ধি বলে উল্লেখ করেন তিনি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী সমিতির এ সভাপতি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার নথি তলব করে হাইকোর্ট আদেশ দেয়ার পর তা নিম্ন আদালত থেকে আসার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট ছিল। তবে আমি মনে করি আজই মামলার নথি হাইকোর্টে আসবে। আর যদি না আসে, তাহলে আমরা মনে করবো সরকার ইচ্ছে করেই নথি আসতে বিলম্ব ঘটাচ্ছে।

আইনজীবীদের ভুলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে বিলম্ব হচ্ছে আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই এ জে মোহাম্মদ আলী একজন সিনিয়র আইনজীবী, ওনার (আইনমন্ত্রী) চাইতেও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তারা ট্রায়াল কোর্ট থেকেই এ মামলার সঙ্গে জড়িত। তারা সবাই আইনমন্ত্রীর থেকেও সিনিয়র।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে বিভিন্ন মহল বিভিন্ন রকম বক্তব্য উপস্থাপন করছেন। যাতে করে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হয়।

তিনি বলেন, এই বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়াচ্ছে। এটার তিনটি উদ্দেশ্য। এরমধ্যে প্রথম উদ্দেশ্য হলো-বেগম খালেদা জিয়া যাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হতে না পারেন। দ্বিতীয় হচ্ছে আইনজীবীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তথা বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সম্পর্কে মানুষের যাতে একটি বিষোদগার সৃষ্টি হয়।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই উল্লেখ করে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। আমরা আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা সমন্বিতভাবেই সমস্ত কাজ করছি।

সরকার কপি দিতে বিলম্ব করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন নিয়মিতভাবে এবং নিয়ম মোতাবেক রায়ের কপি পাওয়ার আবেদন করেছিলাম। যে মোতাবেক কপি পাওয়ার কথা। সরকার প্রাথমিক অবস্থায় সে মোতাবেক কপি দিতে বিলম্ব করেছে।

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, পাঁচ দিনের মধ্যে কপি দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে ১২ থেকে ১৪ দিন লাগিয়েছে। তারপরও আমরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আপিল দায়ের করেছি।

এসময় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।