খালেদাকে ১৫ মিনিট বেশি সময় দিলেন সুষমা

ঢাকায় সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ৪৫ মিনিট বৈঠক করেছেন। ৩০ মিনিট এই বৈঠকের নির্ধারিত সময় থাকলেও ৪৫ মিনিটে গিয়ে শেষ হয়।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন মহলে নানা গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে রোববার রাতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

খালেদা-সুষমা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। এ প্রসঙ্গে দলটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, এর ফলে বিএনপির তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া পড়বে। পাশাপাশি বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ, সুসংগঠিত। এই বৈঠকের ফলে আওয়ামী লীগ মানসিকভাবে আরও দুর্বল হবে।

রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক চলে পৌনে ৯টা পর্যন্ত। বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির আরেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম বলেন, ম্যাডাম দেশে আসার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মনোবল অনেক চাঙ্গা। মাডামের সঙ্গে সুষমা স্বরাজের বৈঠক হবে কি হবে না এ নিয়ে একটি চক্র বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। এসব বিভ্রান্তি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমরা জানতাম বৈঠকটা হবে। বৈঠক হওয়ায় দলের নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল। আমরা বিশ্বাস করি ভারত বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তারাও চায় এ দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকুক। আগামীতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা থাকবে। এ কারণে নেতাকর্মীরা অনেক বেশি উৎফুল্ল, চাঙ্গা।

খালেদা- সুষমা বৈঠক দেশের রাজনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলবে এমন প্রশ্নের জবাবে রাজনীতি বিশ্লেষক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ভারতের দিকে তাকানো বন্ধ করতে হবে, এটা বাংলাদেশিদের বলা উচিত। ভারত তাদের দায়িত্ব পালন করছে না এটাও জনগণকে বলা উচিত। ভারতের চরিত্রটা জনগণ যত বেশি বুঝতে পারবে বাংলাদেশের তত বেশি অগ্রগতি হবে। সুষমা খালেদা জিয়াকে ইলেকশনে নির্বাচিত করতে পারবে না।‘