খালেদার জামিন প্রশ্নে শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আবেদনের ওপর শুনানি আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে সকাল থেকে জামিনের পক্ষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী এবং জামিনের বিপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আদালতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খানসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৯ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ।

দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ওইদিন এ আপিল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

আদেশে আপিল বিভাগ বলেছেন, ‘হাইকোর্টের জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সেটা মঞ্জুর করার মত কারণ (মেরিট) আমরা পেয়েছি। তাই দুটি আপিলের অনুমতি দেয়া হলো এবং আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করা হলো।’

হাইকোর্ট গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।

ওইদিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত না করে আবেদন দুটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

এরপর ১৪ মার্চ চার মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ওই সময়ের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। পরে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, লিভ টু আপিল করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সমান অংকে প্রদান করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।