খালেদার মনোনয়ন বাতিল, আপিল করবে বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি নিয়ে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীব সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল।

রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এ বিষয়ে তার আইনজীবী হিসেবে আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন- জানতে চাইলে ব্যারিস্টার বাদল বলেন, ‘সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের মামলা থাকা সত্ত্বেও তাদের পদ অবৈধ হয়নি। আর বিএনপিসহ সরকার বিরোধীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতে আদালতের মাধ্যমে এই কৌশল নিয়েছে সরকার। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করবো, উচ্চ আদালতে যাব।’

ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেয়া মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিনে আজ রোববার সকালে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. ওয়াহিদুজ্জামান খালেদার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন।

গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে এ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

বগুড়াতেও খালেদার মনোনয়ন বাতিল

বগুড়া-৬ ও ৭ আসনেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। তবে বগুড়া-৬ আসনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া বগুড়া-৬ আসনেই খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পৌর মেয়র অ্যাড. মাহবুবুর রহমান পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় তার মনোনয়নও বাতিল করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে মনোনয়পত্র বাছাইয়ের পর এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ফয়েজ আহমেদ।

সম্প্রতি বিচারিক (নিম্ন) আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে আপিলে বিচারাধীন অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের প্রেক্ষিতেই খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুটি দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত, সাজা ভোগ বাতিল ও জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।