খালেদার মুক্তির দাবিতে অনশনে বিএনপি

দুর্নীতি মামলায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া সাজার প্রতিবাদে রাজধানীতে অনশন শুরু করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।

গতকাল রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে মেইল করে এ কথা জানানো হয়।

অনশনে যোগ দিতে সকাল ১০টার আগ থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা।

অনশনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নিতাই রায় চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।

২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে আছেন ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির শাহাদাৎ হোসেন সেলিম প্রমুখ।

এদিকে বিএনপির অনশন কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া আছে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বকশিবাজারের বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এই রায়কে সরকারের প্রতিহিংসার ফসল আখ্যা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে এখন পর্যন্ত চার দিন নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। তবে গত কয়েক বছরে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে যে নাশকতা ও সহিংসতা হয়েছিল, এবার তা দেখা যায়নি।

রায়ের দিন মির্জা ফখরুল জানান, খালেদা জিয়া রায়ের আগের দিন তাদেরকে হঠকারী কোনো কর্মসূচি দিতে নিষেধ করেছেন এবং এ কারণে তারা ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলন করে তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে চান।