খালেদা জিয়াকে এতো ভয় কেন : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে সরকার ‘ফাকা মাঠে গোল’ দিতে চায়। কিন্তু জনগণ তা গ্রহণ করবে না।

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে নিয়ে তাদের (সরকার) এতো আশঙ্কা কেন? উনি নির্বাচন করতে পারবেন কি পারবেন না তা নিয়ে এতো ভয় কেন? নির্বাচন না করতে পারলে আপনাদের সুবিধা হয়, আমরা ভালো করেই বুঝি।’

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলের মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে মিথ্যাচার করেছেন। এমন কতগুলো কথা বলেছেন যার সাথে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন নিয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলছেন, নির্বাচন ঠেকে থাকবে না।’

‘এর সঙ্গে উনার অভ্যাস আছে, অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৪ সালে যে নির্বাচন তারা করেছেন, সেখানে শতকরা ৫% মানুষও ভোট দিতে আসেনি…’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- বেগম জিয়া নির্বাচন না করলে এদেশে নির্বাচন কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে যারা নির্বাচন করতে চায়, তারা আসলে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। একতরফা নির্বাচন করতে চায়। সেটা এদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্যে, একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করবার জন্য আবার একটা একতরফা ও একদলীয় নির্বাচন করার পাঁয়তারা তারা করছেন। সেভাবে একটা নীলনকশা করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘সেই নীলনকশা অনুযায়ী দেশনেত্রীকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে একটা সম্পূর্ণ ভুয়া নথি তৈরি করে, তারা আদালতের ঘাড়ে বন্দুক চাপিয়ে দণ্ড দিয়েছেন।’

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ‘৭ ধারা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে একটা কথা মানতে হবে- এই দণ্ডটা কারা দিয়েছে? একটি আদালত এই দণ্ড দিয়েছে, সেই আদালত কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে।’

তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে মেজর কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমি একটা বিষয় বুঝতে পারি না- বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে কে প্রধান হলো, না হলো উনাদের এতো মাথা ব্যথা কেন?’

খালেদা জিয়ার রায়ের কপি পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি আইনগত দিক বলতে পারব না, এটা আইনজীবীরা জানেন। তবে অবশ্যই আপিল করা হবে। আশা করি, এই সপ্তাহে আপিল ফাইল করা হবে।’

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।