খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলাকারীরা ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা

ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ফেনীতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

তারা বলেন, শনিবার এ হামলায় নেতৃত্ব দেন ফেনীর শর্শদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী রিয়েল, সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব রবিন, ফেনী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য সবুজ, শর্শদী মিললিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ, ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা বেলাল, শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞার গানম্যান যুবলীগ কর্মী সুমন, ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মানিক।

এ ছাড়া ঘটনার সময় তোলা ছবি, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং রিয়েলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোববার স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, হামলার মূল দায়িত্বে ছিলেন শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞা, ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন সাকা। আহত সাংবাদিকরাও ছবি দেখে হামলাকারী হিসেবে রিয়েল ও সুমনকে চিহ্নিত করেছেন। রোহিঙ্গাদের দেখতে শনিবার ঢাকা থেকে সড়কপথে কক্সবাজার যাওয়ার সময় ফেনীতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা হয়।

এ ছাড়া কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়িবহর আটকে দেয়ার চেষ্টা চালায় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।

রোববার সকালে ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় সাংবাদিক বহরে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই ক্যাডাররা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থা নেয়। দুপুরে খাবার পর এদের মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে হামলার দায়িত্ব দেয়া হয়। হামলায় একাত্তর টিভি, বৈশাখী টিভি, চ্যানেল আই ও ডিবিসি টিভির গাড়িসহ সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদের বহনকারী অর্ধশত গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্বৃত্তরা আহত সাংবাদিকদের মারধরও করে।

ফেনী পৌর বিএনপির সভাপতি আলাল উদ্দিন আলাল জানান যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ফেনীর ফতেহপুর ও দেবীপুর এলাকায় গাড়িবহরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, এ নিয়ে কোনো অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশের কোনো সদস্যও ছিল না। হামলার কোনো আলামতও নেই। তবুও বিষয়টি খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেনী সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মিজান বলেন, আহত সাংবাদিকদের তিনি দেখেছেন। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা।