খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলে যা বলছে বিশ্বমিডিয়া

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের জন্য জমা দেয়া মনোনয়নের সবই বাতিল হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা, যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল, বার্তা সংস্থা পিটিআই ও সাউথ ক্যারোলাইনার দ্যা স্টেট পত্রিকাসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি অভিযুক্ত হন এবং দুই বছর বা তারও বেশি শাস্তি হিসেবে তাকে জেল দেয়া হয় তাহলে তিনি বৈধ প্রার্থী হতে পারেন না।’

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এপির উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল খবর প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির দলীয় প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তকে অশুভ উদ্দেশ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দলটির নেতা রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হলো সরকারের নীলনকশার অংশ। এর মধ্য দিয়ে তারা খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বক্তব্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি অভিযুক্ত হন এবং দুই বছর বা তারও বেশি শাস্তি হিসেবে তাকে জেল দেয়া হয় তাহলে তিনি বৈধ প্রার্থী হতে পারেন না।

এছাড়া বার্তা সংস্থা পিটিআই’র খবরে বলা হয়েছে, বর্তমান কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আসন্ন নির্বাচনে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তার তিন আসনে মনোনয়নই বাতিল করা হয়েছে। দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।