‘খুলনা-দর্শনা রেলপথে ডাবল লাইন হচ্ছে’

খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনে ডাবল লাইন হচ্ছে। এর মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি তৈরি হবে। বর্তমানে ঢাকা-খুলনা করিডোরের খুলনা-দর্শনা সেকশনে সিঙ্গেল বিজি লাইন সেকশন। এই সেকশনটি খুলনা-ঢাকা, খুলনা-চিলাহাটি এবং খুলনা-রাজশাহী রুটের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।

বর্তমানে এ রেল রুটগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-দর্শনা সেকশনটি সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় পণ্য ও যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় সেকশনটির অপারেশন ক্যাপাসিটি প্রয়োজনের তুলনায় কম। এজন্য ১২৬ কিলোমিটার বিজি রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ করে সেকশনটি ডাবল লাইনে উন্নীত করা প্রয়োজন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পটি মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদনের পর প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। এটি ভারতীয় দ্বিতীয় এলওসির ঋণ ও সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য হরিয়ান, ভেড়ামাড়া, সান্তাহার, বঙ্গবন্ধু ব্রিজ ওয়েস্ট, আমনুরা, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও ও রংপুরে তেলভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ রেল লাইনটি নির্মাণ হলে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোতে এবং সেচসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দ্রুত ও সহজে তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এছাড়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ১ হাজার ১১০ কিলোমিটার ট্র্যাক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১২৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণের মাধ্যমে রেল পরিবহন সুবিধা সৃষ্টি হবে, যা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনে ১২৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ করা হলে বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হবে।

এছাড়া বাংলাদেশরেলওয়ের ঢাকা-খুলনা চিলাহাটি করিডোরে পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয়, আঞ্চলিক এবং ট্রাফিক চাহিদা পূরণ হবে। তাছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি তৈরি হবে।