খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোট দেওয়ার জন্য নাগরিকরা ভোটকেন্দ্রগুলোতে সার বেঁধে দাঁড়িয়েছে। ভোটগ্রহণ চলভে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

রোববার থেকে মাঠে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নামানো হয়েছে। নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, এপিবিএন, সাড়ে চার হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য, ৯০০ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি থাকবে র‌্যাবের ৩২টি টহল টিম। যার প্রতিটি টিমে ৮ জন সদস্য আছে। এ ছাড়া চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মাঠে আছে।

নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সিটি নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের লক্ষ্যে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে নামানো হয়েছে। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে একটি করে পুলিশের টিম রয়েছে।

নির্বাচনে মেয়র এবং কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট ১৯১ জন প্রার্থী নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। মেয়র প্রার্থী ৫ জন, ১৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর এবং চারটি সংরক্ষিত আসনে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।

খুলনা সিটিতে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ জন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০৬ নম্বর কেন্দ্র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ১০টি ইভিএম রয়েছে।