গগের ছবিতে ১২৮ বছর ধরে আটকে আছে ঘাসফড়িং!

আমেরিকার কানসাস সিটি জাদুঘরে রাখা ভিনসেন্ট ভ্যান গগের একটি চিত্রকর্ম নিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়। গবেষণার কাজে ওটাকে মাইক্রোস্কোপের নিচে নেওয়া হয়।

আর সেইখানেই ধরা পড়ে এক অদ্ভুত ঘটনা। ওই চিত্রকর্মে এক আগন্তুকের দেখা মেলে। রংয়ে আটকে ছিল একটি ঘাসফড়িং! এই ক্যানভাসে ছবিটি আঁকানোর সময় কাঁচা রংয়ের হয়তো আটকে যায় ফড়িংটি। ওট এ অবস্থাতেই ১২৮ বছর ধরে আটকে রয়েছে ছবিতে।
নেলসন-অ্যাটকিন্স মিউজিয়াম অব আর্ট এর কনজারভেটর মেরি স্ক্যাফার জানান, মাইক্রোস্কোপের নিচে একটি শুকিয়ে যাওয়া ঘাসফড়িং দেখা যায়।

এএফপি’কে তিনি জানান, আমি আসলে গগের বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিংয়ের পার্থক্য নিয়ে গবেষণা করছিলাম। এই ছবিটা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ঘাসফড়িংটির অস্তিত্ব চোখে পড়েছে। ভ্যান গগের এই ছবিতে ঘাসফড়িং মেলাতে বিষয়টি বেশ মজার হয়ে উঠেছে। হয়তো গগকে এখন অন্য দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে।

এ বছরই গগের ছবিতে ঘাসফড়িং পাওয়ার ঘোষণা আসে। এতে বোঝা যায়, ঘরের বাইরে এই বিখ্যাত শিল্পী ছবি আঁকতেন। প্রায়ই বাতাসের সঙ্গে ধুলো, ঘাস আর কীটপতঙ্গ উড়ে আসা স্বাভাবিক ঘটনা।

১৮৮৫ সালে ভ্যান গগ তার ভাই থিওকে এক চিঠিতে লিখেছেন, আমাকে ৪টি ক্যানভাস থেকে শ’খানেক মাছি তুলতে হবে যা তুমি দেখতে পাবে। এখানে ধুলো আর বালুর কথাই নাই বা বললাম।

ভ্যান গগ মোটেও পোকামাকড় মারতেন না। ইউনিভার্সিটি অব কানসাসের জীবাশ্মবিদ মাইকেল এনগেল জানান, ঘাসফড়িংটি বুক এবং উদর ছিল না। ওখানে আটকানোর পর ফড়িংটি নড়াচড়া করেছিল বলেও মনে হয় না। এতে বোঝা যায়, গগের এই ছবিতে আটকে যাওয়ার আগেই ওটার মৃত্যু ঘটেছিল।

‘গগের অলিভ ট্রিস’ নামের পেইন্টিংয়ের একটি সিরিজ নিয়ে গবেষণা করছেন মেরি স্ক্যাফার। মোটামুটি ১৮টি পেইন্টিংয়ের সিরিজ এটি। এই ছবিগুলো গগ শেষ করেন ১৮৮৯ সালে। ফ্রান্সের সেইন্ট-রেমি-ডি-প্রোভিয়েন্সে। পরের বছরই মারা যান তিনি।
সূত্র : এনডিটিভি