গণতন্ত্রের বিশ্ব সূচকে ৮ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ

গত এক বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবস্থার অবনতি হয়েছে। আজ বুধবার ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বৈশ্বিক গণতন্ত্রের সূচক-২০১৭ তে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ ধাপ পিছিয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ২০১৬ সালের তুলনায় বাংলাদেশের স্কোরও কমেছে।

গণতন্ত্রের দিক দিয়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪ তম এবং স্কোর ছিল দশের মধ্যে ৫.৭৩। আর ২০১৭ সালে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়ায় ৯২ তম এবং স্কোর ১০-এর মধ্যে ৫.৪৩।

গত বারের মতো এবারও শক্তিশালী গণতন্ত্রের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। আর সবচেয়ে খারাপ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান ধরে রেখেছে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়া।

সাতটি মহাদেশের মধ্যে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এবার এশিয়ার স্কোর দাঁড়িয়েছে ৫.৬৩।

গণতন্ত্রের অবস্থা পর্যালোচনা করে দেশগুলোকে স্কোর দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ স্কোর ১০। এর মধ্যে যাদের স্কোর ৮ তাদেরকে পূর্ণ গণতন্ত্রের দেশ বলে বিবেচনা করা হয়।

ব্রিটেনের ইকোনোমিস্ট গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ হচ্ছে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ)। লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্য ইকোনোমিস্ট’ এই গ্রুপেরই।

ইকোনমিস্টের পরিসংখ্যান বলছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশেরও কম মানুষ ‘পূর্ণ গণতন্ত্রের’ মধ্যে থাকে। এবার সারা বিশ্বের সার্বিক গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইকোনমিস্ট।

ইকোনমিস্টের গবেষণাটির ক্ষেত্রে ৫টি মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়ে থাকে। সেগুলো হল- নির্বাচনগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে কিনা, সরকারে ভারসাম্য আছে কিনা, জনগণকে রাজনীতিতে যুক্ত করা হয় কিনা, জনগণ তাদের সরকারকে সমর্তন করে কিনা এবং তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা পায় কিনা।