‘গবেষণায় গুরুত্ব দেয়ার ফলে আমরা আজ খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণ’

‘আমি সবসময় গবেষণাকে গুরুত্ব দিই। আমরা ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেখি গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। তখন ১২ কোটি টাকা প্রথমে বরাদ্দ দিই। পরের বছর তা ১০০ কোটি টাকা করি।’ ‘গবেষণায় গুরুত্ব দেয়ার ফলে আমরা আজ খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণ। এখন আমরা খাদ্য বিদেশেও রপ্তানি করতে পারি।’

বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা চেকপ্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রতি বছরে মতো এবারও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিশেষ গবেষণা অনুদান এবং এনএসটি ফেলোশিপের চেক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০০ ফেলো উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজ নিজ চেক গ্রহণ করেন।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশের আর্তসামাজিক উন্নতিতে কোনো ছাপ রাখতে পারেনি। স্বাধীনতার আদর্শে যারা বিশ্বাস করে না তারা দেশের জন্য আর কী উন্নতি করবে!’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। সারা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য গবেষণার প্রতি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ফেলোশিপ চালু করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো তা বন্ধ করে দেয়। এতে দেশের গবেষণা হোঁচট খায়।

শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার দেশে গবেষক তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। দেশে এবং বিদেশে গিয়ে যাতে গবেষণা চালাতে পারে সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে তিনি গবেষকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।