গভীর রাতে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন স্ত্রী

একাধিক বিয়ে করায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত স্বামী রঞ্জিত মিয়াকে (৪৭) প্রথমে গাংনী ও পরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে (৪২) আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ বছরের জীবনে একে একে ছয়টি বিয়ে করেছেন রঞ্জিত মিয়া। কোনো স্ত্রীকে ভাত-কাপড় দেয়নি তিনি। বিয়ের কিছুদিন পরই শুরু করতেন অমানুষিক নির্যাতন।

শুক্রবার গভীর রাতে বিশেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন ব্লেড দিয়ে রঞ্জিত মিয়ার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। রঞ্জিতের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা রঞ্জিতকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেই সঙ্গে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে মনোয়ারা খাতুন বলেন, আমি রঞ্জিতের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী একই গ্রামের কমেলা খাতুন। নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দিয়ে আমাকে বিয়ে করে রঞ্জিত। স্বামীর সংসারে এসেই দেখি তার আগের স্ত্রী রয়েছে। এর কিছুদিন পর কুষ্টিয়া থেকে লিপি নামের আরেক স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসে রঞ্জিত। তিন স্ত্রী আর চার সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হয় আমাদের। এরই মধ্যে চলে আমাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন। কিছুদিন আগে একই উপজেলার গোয়ালগ্রামে মুন্নি নামের আরেকজনকে বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস শুরু করে রঞ্জিত। এ নিয়ে ছয়টি বিয়ে করেছে রঞ্জিত। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরলে কৌশলে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছি আমি। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট করতে না পারে সে।

এ বিষয়ে গাংনী থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। অসুস্থ রঞ্জিতকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। রঞ্জিতের পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।