গাজীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, শতাধিক কারখানা ছুটি

সরকার নির্ধারিত নতুন মজুরি কাঠামোতে বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বাস্তবায়নের দাবিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাজীপুর ও নাওজোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা কর্মবিরতি করে বিক্ষোভ করেছেন।

এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ২০জন শ্রমিক আহত হন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, বুধবার সকালে গাজীপুরের টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় হপলোন অ্যাপারেলসহ আশেপাশের কারখানার শ্রমিকেরা নূন্যতম মজুরি কাঠামো বাড়ানো ও বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে বিক্ষোভ করে।

একই দাবিতে নাওজোড়ের দিগন্ত সোয়েটার কারখানাসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে রাস্তায় নেমে আসেন। এক পর্যায়ে তারা ওই মহাসড়কে বিভিন্ন পরিত্যাক্ত বস্ত ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধ করে।

এতে ওই সড়কে সব ধরণের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এতে শ্রমিকদের হামলায় নাওজোড়ে চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের গাজীপুর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম আহত ও তার মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ভাঙচুর করা হয়। গাজীপুরে পুলিশের লাঠিচার্জে সময় টিভির প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম আহত হন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হন।

পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে ফের উভয় মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

এছাড়া টঙ্গীর বিসিক এলাকায়ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় শতাধিক কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে সরকারের আশ্বাসের পরও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা। গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ করে আসছেন তারা। আজ রাজধানীর মিরপুর, কালসী, সাভার ও রাজধানীর দক্ষিণখানসহ বেশকয়েকটি এলাকায় আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা।