গান্ধী-নেহেরুকে ‘আবর্জনা’ বলে বিপাকে অাসামের বিজেপি সাংসদ

ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ও দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং তার ছেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী’কে ‘আবর্জনা’ বলে বিতর্কে জড়ালেন অাসামের বিজেপি সাংসদ কামাখ্যা প্রসাদ তাসা।

গত শনিবার পূর্ব অাসামের ছড়াইদেও জেলার সোনারিতে এক অনুষ্ঠানে জোরহাট লোকসভা কেন্দ্রের ওই বিজেপি সাংসদ এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলেন অভিযোগ।

তাসা বলেন, ‘রাষ্ট্রীীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)’এর ভাবাদর্শী দীনদয়াল উপাধ্যায়ের আদর্শ না জেনেই গান্ধী ও নেহেরুর মতো আবর্জনা দিয়ে সাধারণ মানুষের মগজ ধোলাই করেছে’। গান্ধী ও নেহেরুকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি সাংসদ যখন এই মন্তব্য করছিলেন সে সময় মঞ্চে তাঁর পাশেই উপস্থিত ছিলেন অাসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।

এদিকে তাসার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই রাজ্য জুড়ে সমালোচনা ঝড় উঠেছে। সরব হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। তাসার এই মন্তব্যকে ধিক্কার জানিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা গুয়াহাটিতে তাসার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। পাশাপাশি ওই অভিযুক্ত সাংসদকে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছে তারা।
অাসাম রাজ্য কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে গতকালই তাসার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ‘ওই সাংসদ মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীকে আবর্জনা হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তাই আমরা অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতার ও ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

অাসামের কংগ্রেস নেতা রিপুন ভোরা জানান, ‘জওহরলাল নেহেরু ও মহাত্মা গান্ধীকে আবর্জনার সঙ্গে তুলনা করাটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ এবং সাংসদের এই অপরাধের জন্য তাঁর আটকের দাবি জানাচ্ছি’।

অসমের দুই কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও সুস্মিতা দেব-ও ট্যুইটে এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। গৌরব গগৈ জানান, ‘সাংসদ তাসার মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাঁর উচিত মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া’। অন্যদিকে সুস্মিতা দেব বলেন, ‘২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে। কিন্তু তাসার মতো সাংসদদের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। খুবই দুঃখজনক মন্তব্য’।