গায়ে কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ শিরিনা আক্তার (২৫) উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমারুলী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে জামাই শরিফ মিয়া (২৪), শ্বশুর সাহাব উদ্দিন (৫৫), শাশুড়ি হাছেনা খাতুন (৪৫), দেবর মিজানুর রহমান (১৮) ও হোমিও ডাক্তার ফারুক মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হাছেনা খাতুন, মিজানুর রহমান ও ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৭/৮ মাস আগে কুর্শিপাড়া গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে শরিফ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শিরিনার। বিয়ের পর থেকে জামাই ও তার বাবা-মা, ভাই মিলে যৌতুকের টাকা এনে দিতে চাপ দিচ্ছিল।

বাবা গরিব। তাই অপারগতা জানায় শিরিনা। এতে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো। ১ জুন সকালে শরিফ তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের এক লাখ টাকা দাবি করে। টানা আনা সম্ভব নয় জানালে ওই দিন বেলা সাড়ে বারোটার দিকে তাকে মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে শিরিনার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঝলসে যায় তার শরীর।

পরে বাড়ির লোকজন শিরিনার বাবাকে খবর না দিয়ে পাঁচ দিন বাড়িতে রেখে হোমিও চিকিৎসা দেন। পরে খবর পেয়ে দিনমজুর বাবা আব্দুল হাই এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ ঝলসে গেছে।

রায়ের বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল মোতালিব চৌধুরী বলেন, শিরিনার জবানবন্দি গ্রহণের জন্য উপ পরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের আহম্মেদ সিদ্দিকী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি শিরিনাকে দেখতে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন এবং শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।