গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার মৃত্যু

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা যুবক মারা গেছেন। তার নাম মো. মুসা।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া মো. মোক্তার নামে গুলিবিদ্ধ আরও এক রোহিঙ্গা চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হতাহতরা সকাল আটটায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তারা বাংলাদেশে পালিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে বেলা ১১টার দিকে মুসা মারা যান।

মুসা রাখাইনের মংডু এলাকার মো. ইসমাইলের ছেলে। আহত মোক্তার হোসেনের বাড়িও মংডু এলাকায়। তার বাবার নাম গুল মোহাম্মদ। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ) বিদ্রোহী বলে জানান চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।

আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিদ্রোহীরা মংডুর লাইনমাখালি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে হামলা চলাকালীন সময়ে গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান। পরে পালিয়ে শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আসেন। সেখান থেকে সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আসেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্রোহীরা মংডু জেলার মংডু ও বুথিদাউং উপজেলায় ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে হামলা চালায়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্যসহ মোট ৮৯ জন মারা যান বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়। এছাড়া শতাধিক রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গুলিবিদ্ধ হয়।

আহত মোক্তার হোসেন বলেন, আহতরা পালিয়ে বিভিন্ন সীমান্ত পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারাও নিরুপায় হয়ে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন।

রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযানের ভয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে নাফ নদীর তীরে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ইতোমধ্যে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা অনেককে ফেরত পাঠিয়েছে।