গোপন ক্যামেরায় ঢাবি ছাত্রীদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করে মেয়েদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে। আর এই ছবি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচারে ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছে ছাত্রলীগ।

প্রক্টর কার্যালয়ে জমা দেয়া অভিযোগে বেশ কিছু ঘটনার তথ্য প্রমাণও জমা দেয়া হয়। এ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত ও নজদারির মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত সুরাহার আহ্বানও জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনটি। বলা হয়, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ন হবে।

ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ছবিগুলো নিয়ে অনলাইন ও অফলাইনে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। গত কিছুদিন ধরে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে যা বেশ কিছু মেয়েকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্তের জন্য আমরা ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তিন সদস্যর এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ট্যুরিজম ও হসপিটিলিটি ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূইয়াকে।’

আর কী উদ্যোগ নিয়েছেন- এমন প্রশ্নে প্রক্টর বলেন, ‘আমি নিজেও কয়েকটি ফ্যাকাল্টি ঘুরে দেখেছি এবং ছাত্রীদের সচেতন হতে বলেছি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে তথ্যপ্রমাণ সহ একটি অভিযোগ দাখিল করেছি এবং এই বিষয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছি।’