গোল্ডেন বলের দৌড়ে এগিয়ে যারা

গোল্ডেন বুট কে পাচ্ছেন তা মোটামুটি পরিষ্কার! ৬ গোল নিয়ে এ দৌড়ে সবার আগে আছেন হ্যারি কেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, রোমেলু লকাকু ও ডেনিস চেরিশেভ-প্রত্যেকের গোল ৪টি করে।

তবে গোল্ডেন বল কে পাচ্ছেন তা এখনও পরিস্কার নয়। এ পুরস্কার জেতার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মড্রিচ ও ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পেসহ আরও ক’জন।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে ওঠার নেপথ্যে অসামান্য অবদান মড্রিচের। এখন পর্যন্ত ২ গোল করেছেন তিনি। দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি মিস করলেও টাইব্রেকারে নিশানাভেদে তা পুষিয়ে দেন। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দৌড়ে খেলা ফুটবলার তিনিই। ৬ ম্যাচে দৌড়েছেন ৬৩ কিলোমিটার। এখানেই শেষ হলে ভালো হতো। ক্রোয়াটদের ৬ ম্যাচের ৩টিতেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। এবার আর কোনো খেলোয়াড়ের হাতেই তা উঠেনি।

ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্নযাত্রার আরেক সৈনিক ইভান রাকিটিচ। মাঝমাঠে তার সঙ্গে অসাধারণ জুটি গড়ে তুলেছেন মড্রিচ। তবে আসল কাজটা করেন এ মিডফিল্ডারই। পুরো দলের খেলার নাটাইটা থাকে তার হাতেই। তিনি যেমন খেলেন, খেলান ও আক্রমণ প্রতিরোধ করেন। দলকে মূলত পরিচালনা করেন এ লিকলিকে ৩২ বছরের ফুটবলারই।

চলতি বিশ্বকাপে সেরা আবিষ্কার এমবাপ্পে। তার অবিশ্বাস্য গতি আর স্কিল মুগ্ধ করেছে সবাইকে। শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে বিধ্বস্ত করে ফ্রান্স। সেই ম্যাচে তার জোড়া গোলের সঙ্গে ক্ষীপ্রগতির দৌড় অনেকদিন মনে রাখবেন ফুটবলরসিকরা। ‍৩ গোল করা ১৯ বছরের বিস্ময় ফিরিয়ে এনেছেন পেলের স্মৃতি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলের পর প্রথম ‘কিশোর’ হিসেবে এবার ন্যূনতম ৩ গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি।

শুধু গোল করা না, করানোটাতেও সমান দক্ষ এমবাপ্পে। বিশ্বকাপের ২১তম আসরে সতীর্থদের দিয়ে একাধিক গোল করিয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, ফরাসিদের প্রতি গোলেই রয়েছে তার অবদান।

এ পুরস্কার জেতার দৌড়ে আরো আছেন হ্যারি কেন, কেভিন ডি ব্রুইনা ও এডেন হ্যাজার্ড। এখন এ ধ্রুপদী লড়াইয়ে কে জেতে-তাই দেখার। তবে বিশ্লেষকদের মতে, মড্রিচ ও এমবাপ্পের মধ্যেই বিজয়ী নির্ধারিত হবে।