গৌরবময় একাত্তরে পা রাখলো আ.লীগ

৭০ বছর পূর্ণ করে একাত্তরে পদার্পণ করল দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ দলটির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সময়ের সাথে সাথে প্রয়োজনকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত নিজেদের নবায়ন করে চলেছে আওয়ামী লীগ। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার।

১৯৪৯ সালে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে জন্ম হয় নতুন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের। তখন আওয়ামী লীগের নাম ছিল মুসলিম লীগ।

এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক হন টাঙ্গাইলের শামসুল হক। আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

পরে ১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর পরের বছর দলের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। দলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে শেখ মুজিব ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দলটি স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন, ৬২ ও ৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন ও ৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির আন্দোলন গড়ে তোলে।

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সময়ে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সে সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা।

১৯৮১ সালে দেশে ফিরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামে ২১ বছর পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে সরকারে এসে দেশকে এগিয়ে নেয়ার নতুন নতুন মাইলফলক তৈরি করে দলটি।

আওয়ামী লীগ নেতারা আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের নানান সূচক আর জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে জনগণের অব্যাহত সহায়তা পাবে আওয়ামী লীগ সরকার।

এদিকে দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে আজ থেকে দেশজুড়ে মাসব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালিত হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দে যোগ দেবেন- এমনটাই প্রত্যাশা দলের নীতিনির্ধারকদের।