গ্রেনেড হামলার ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি নিয়ে ভোটের প্রচারে হাসিনা

ভোটের প্রচারে সরকারি গাড়ি নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ব্যবহার করছেন একুশে গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মার্সিডিজ গাড়িটি।

নির্বাচনী কাজে সরকারি সুবিধা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আছে। আর এই কারণেই এই গাড়িটি ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার সকালে ঢাকার গণভবন থেকে সড়ক পথে নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়ার পথে রওয়ানা হন শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে যে গাড়িবহরটি বের হয়, তাতে ছিল রূপালী মার্সিডিজ গাড়িটি। বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে এই গাড়িটি ব্যবহার করতেন শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এই গাড়িতে করেই গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। আর গ্রেনেড হামলা থেকে মানববর্ম তৈরি করে নেত্রীকে বাঁচিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে তুলে দেন গাড়িটিতে। বুলেটপ্রুফ থাকায় হামলাকারীদের করা গুলিটি গাড়ির কাঁচ ভেদ করতে পারেনি।

ওই হামলার পর গাড়িটি মেরামত করা হয়, তবে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথের পর থেকে সেটি আর ব্যবহারের দরকার পড়েনি। কিন্তু নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে যাওয়ায় সরকারি সুযোগ সুবিধা নিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই গাড়িটি আবার বের করা হয়।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় যাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সুযোগ-সুবিধা তিনি ব্যবহার না করেন, সেটা নিয়ে আমরা সতর্ক।’

‘নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে কোনভাবেই লংঘন না হয়, এ নিয়ে আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি। এ কারণে আজ নেত্রী যখন টুঙ্গিপাড়া সফরে গেছেন, তিনি কিন্তু ব্যক্তিগত এবং দলীয় গাড়িবহর নিয়ে গেছেন। এটি কিন্তু সরকারি সফর নয়, দলীয় সফর। এখানে সরকারি কিছু থাকবে না।’