ঘাড় ব্যথার কারণ ও করণীয়

বেশিরভাগ মানুষই জীবনে কোনো না কোনো সময় ঘাড় ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন। ঘাড় ব্যথায় আক্রান্ত রোগীরা দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিন।

ঘাড় ব্যথা কেন হয়?
অনেক কারণে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। বয়স অনুসারে ঘাড় ব্যথা ভিন্ন ভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে টরটিকলিস বা হঠাৎ ঘাড়ের মাংসপেশি টেনে ধরা, তরুণদের ক্ষেত্রে সারভাইক্যাল রিবস বা ঘাড়ের অতিরিক্ত হাড়ের কারণে ও সারভাইক্যাল ডিক্স প্রলেপস বা সারভাইক্যাল ডিস্ক ডিজিজ ইত্যাদি। বয়স্কদের ক্ষেত্রে খুব পরিচিত রোগ এটি।

ঘাড় ব্যথায় করণীয়
যারা ঘাড় ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন বা আগামী দিনে এই ব্যথায় আক্রান্ত হতে না চান তারা কিছু নিয়ম মেনে চলুন, তাহলে ঘাড় ব্যথা প্রতিরোধ করতে পারবেন।

১. সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না। কাজের মাঝে কিছু সময় বিশ্রাম নিন।

২. যারা কম্পিউটারে কাজ করেন তাদের কম্পিউটারের মনিটর চোখের লেভেল অনুযায়ী রাখুন। যেন খুব বেশি ঝুঁকতে না হয়।

৩. শোয়ার সময় ১টা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও বাকি অর্ধেকটুকু ঘাড়ের দিকে থাকবে। কারণ আমরা অনেকেই খুব নিচু বালিশ ব্যবহার করি, যার ফলে আমাদের সারভাইক্যাল স্পাইনে যে স্বাভাবিক বক্রতাকে নষ্ট করে দেয়, তেমনি কেউ যদি খুব উঁচু বা ডাবল বালিশ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক বক্রতা নষ্ট হয়।

৪. সর্বোপরি ঘাড়ের মাংসপেশির শক্তি ঠিক রাখার জন্য ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করুন।

লেখক:
ডা. এম. ইয়াছিন আলী, ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
চিফ-কনসালটেন্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার।