ঘুরে এলাম মাটির নিচে মনুষ্য সৃষ্টি এক জগত থেকে!

শিরোনাম দেখে অবাক হচ্ছেন? অবশ্য অবাক হওয়ারই কথা। কারণ- মাটির নিচে মনুষ্য সৃষ্টি জগত! এটা আবার কেমন!! তবে বিষয়টা কিন্তু খুব স্বাভাবিক। সম্প্রতি আমি কলকাতার বেশ কয়েকটি স্থান ঘুরে এলাম। স্মৃতিতে গেঁথে রাখা সেখানকার কিছু কথা বলব আজ।

রিমঝিম এক বৃষ্টির দুপুর। কলকাতার বোটানিক্যাল ও নন্দন ঘুরে পাতাল রেলের সন্ধান করতে লাগলাম। অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই জানতে পারলাম আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি তার পাশেই পাতাল রেলের স্টেশন! তারপর গেলাম স্টেশনের প্রবেশ পথে।

সিঁড়ি দিয়ে মাটির নিচে নামতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ যেতেই পেয়ে গেলাম স্টেশন। স্টেশনে পৌঁছেই অবাক হলাম!! কারণ- গভীর মাটির নিচে স্টেশনটি দেখে মনে হয়েছে যেন আরেকটা জগতে চলে এলাম। এজন্য এমন অবাক হওয়াটা খুব অস্বাভাবিক নয়। সেখানকার টিকিট কাউন্টারে শত শত মানুষের ভীড়। লোকে লোকারণ্য স্টেশনের প্লাটফর্ম দেখে বোঝার উপায় নেই যে মাটির উপরে আছি নাকি নিচে!! মাটির উপরের রেল স্টেশনগুলোতে যেমন ভীড় দেখেছি, মাটির নিচেরও ঠিক তেমনটা দেখলাম।

লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাঁটলাম। সেখানে টিকিটের দাম এতই কম যে অবাক হওয়ার মতো। তারপর ট্রেনের জন্য প্লাটফর্মে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলো ট্রেন। বেশ হুড়ুতাড়া করে ট্রেনে উঠতে হলো। পাতাল রেলে দারুণ একটা বৈশিষ্ট দেখলাম। প্রতি স্টেশনে ট্রেনটি ১৫/২০ সেকেন্ডের মতো থামছে, এরমধ্যে অনেকে নামছে আবার উঠছে। দেখে মনে হলো পাতাল রেলের যাত্রীরা বেশ ফার্স্ট। আর ট্রেনের গতি ছিল যেন বুলেটের মতো।

বেশ কয়েকদিন ছিলাম কলকাতা শহরে। যার মধ্যে পাতাল রেলের ভ্রমণটা ছিল অনেক আনন্দের। তবে কলকাতার রাজপথের ট্রামে চড়ার মজাও কিন্তু কম নয়। ট্রামে চড়ার মজার সেই অভিজ্ঞতার ঝুড়ি মেলে ধরব আরেক দিন।

লেখক : আবু রায়হান মিকাঈল, গণমাধ্যম কর্মী, ঢাকা।