ঘুষ নয়, প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ায় দোষ!

ভারতের কলকাতা শহরকে উদ্দেশ্য করে প্রখ্যাত গায়ক নচিকেতা বলেন, এই শহরে তালেবানি শাসন চলছে নাকি! পঞ্চায়েত ঠিক করে দেবে, কে কার হাত ধরবে?

তিনি আরো বলেন, আসলে এই বুড়োগুলো যৌন ঈর্ষায় ভোগে। নিজেরা করতে পারছে না। তাই যে করতে পারছে তাকে ধরে মারো। এরা নিজেদের ছেলেমেয়েকে আমেরিকাতে পাঠায়। সেখানে নিজেদের ছেলেমেয়েরা প্রকাশ্যে চুমু খেলে দোষ হয় না। এখানে সেটা অন্য কেউ করলেই যত দোষ। যখন লালকেল্লা বিক্রি হয়ে যায়, হেরিটেজ নিলাম হয়ে যায়, তখন এই বীরপুঙ্গবরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে।

তিনি একনাগাড়ে বলে চলেন, আমি সে কারণেই অনেক দিন আগেই গান লিখেছিলাম, প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ, ঘুষ খাওয়া কখনোই নয়। এই যে লোকগুলো এই জঘন্য কাজটা করলো, তারা নিজেদের কর্মজীবনে কোনো অপরাধ করেনি? তারা কখনো ঘুষ খায়নি? কোনো অন্যায় সুবিধা নেয়নি? পুলিশের উচিত, এই লোকগুলোকে খুঁজে বের করে জেলে ঢোকানো। এদের শাস্তি হওয়া দরকার।

শ্লীল-অশ্লীল পুরো বিষয়টাই খুব আপেক্ষিক। আলিঙ্গন করা মানুষের মানুষকে ভালোবাসার একটা অনুভূতি। মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে না? এটা কি সভ্যতার চিত্র? আসলে আইন-কানুনের দায়িত্ব আমরা গাধাদের হাতে দিয়ে দিয়েছি।

আমাদের শহরে প্রেম করার কোনো জায়গা নেই। ক্রিকেটের মাঠের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়। অথচ ছেলেমেয়েরা প্রেম করার জন্য জায়গা পায় না। গোটা শহরটা কংক্রিটে ভরে গেছে। প্রেম করার, ভালোবাসার প্র্যাকটিস করতে দেব না, খালি হিংসার প্র্যাকটিস। এই শহরে প্রেমিক-প্রেমিকার নিরাপত্তা নেই। অথচ বাকি সব এখানে প্রকাশ্যে হয়। ইউ ক্যান্ট কিস ইন পাবলিক প্লেস, বাট ইউ ক্যান পিস ইন পাবলিক!

প্রসঙ্গত, কলকাতার দমদম মেট্রো স্টেশন ছাড়ার পর আলিঙ্গন ‘করার’ অভিযোগে টেনে নামিয়ে গণপ্রহার করা হয়েছে এক যুগলকে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এসব কথা বলেন নচিকেতা।