ঘুষ লেনদেন: শিক্ষামন্ত্রীর পিওসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

নিখোঁজের পর গ্রেপ্তার শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকি দুইজন হলেন লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন।

সোমবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করে।

বনানী থানার ডিউটি অফিসার এসআই রফিজ উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে ঘুষের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ১৬১, ১৬২ ও ১৬৩ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। আজ তাদেরকে আদালতে তোলা হবে।

এসআই জানান, মামলাটি তদন্ত করবে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ঠিক কী ধরনের ঘুষের অভিযোগ আনা হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

বিভিন্ন মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুল ঘুষের বিনিময়ে চালু করে দিতে চেয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর পিও মোতালেব হোসেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিন। এজন্য তারা স্কুলটির মালিকের কাছ থেকে ঘুষও নিয়েছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত রবিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেনসহ তিন দিনে নিখোঁজ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

ডিবি সূত্র জানায়, রাত সাড়ে আটটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিসিভ ও ডেসপাস শাখার উচ্চমান সহকারী মো. নাসিরুদ্দিনকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরে মোতালেব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর এক অভিযানে লেকহেড স্কুলের মো. খালেদ হাসান মতিনকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের গ্রেপ্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘গোয়েন্দারা যখন কাউকে গ্রেপ্তার করে, তখন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে বলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তবে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের দুইজনের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ সেটি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।