ঘূর্ণিঝড় ফণী : জিএফএস মডেলে এগুলে ছিন্নভিন্ন হবে উপকূল

প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে ভারত এবং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। ঝড়ের কেন্দ্রস্থলে বাতাসের গতিবেগ ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার উঠানামা করছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত উপকূলবাসী এবং বাংলাদেশ সরকার। বলা হচ্ছে বিগত ৪৩ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থাগুলো এই ঝড়কে পর্যবেক্ষণ করে এর গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে।

বামে- ইউরোপিয়ান মডেল এবং ডানে- আমেরিকান মডেল

এই মুহূর্তে ঝড়ের দুটি সম্ভাব্য ভিডিও পাওয়া গেছে; যার দ্বারা ‘ফণী’র গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। জনপ্রিয় এই দুটি মডেলের একটি হলো আমেরিকার জাতীয় ‘গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম’ (জিএফএস) এবং আরেকটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট (ইসিএমডব্লিউএফ)। জিএফএস অনুযায়ী ভারতের উপকূল ঘেষে ‘ফণী’ পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে প্রবল শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের খুলনা জেলার ওপর দিয়ে ছুটবে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের একটি অংশেও আঘাত হানবে ‘ফণী’।

অন্যদিকে ইসিএমডাব্লিউএফ বলছে, ‘ফণী’র মূল ধাক্কাটা যাবে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের কিছু রাজ্যের ওপর দিয়ে। এছাড়া বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের ওপর দিয়ে এর শক্তিশালী প্রভাব থাকবে। তবে দুটি পূর্বাভাস ভিডিওই বলছে, ‘ফণী’র নিশানায় থাকবে সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা। সেইসঙ্গে দেশের অভ্যান্তরেও ফণীর বেশ প্রভাব থাকবে। সুন্দরবনের জন্যই বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে বাংলাদেশ। তবে ‘ফণী’ যে ছোটখাট ক্ষতি করে থামবে, এমনটা ভাবারও অবকাশ নেই।

দুটি মডেলে ঘূর্ণিঝড়ের দুই ধরনের রূপ দেখা গেছে। এর মধ্যে ইসিএমডব্লিউএফ- এর মডেলটিতে ঝড়ের তীব্রতা অনেক বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুটি মডেল অনুসারে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অনুভূত হবে। শনিবার ভোর থেকেই শুরু হবে বাংলাদের উপকূলে এর আক্রমণ। তবে মার্কিন মডেল জিএফএস রোডম্যাপ অনুযায়ী ‘ফণী’র আগমন ঘটলে বাংলাদেশের ওপর আঘাতটা বেশি যাবে। এই দুটি মডেল মাথায় রেখেই বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা যেতে পারে।

দেখুন দুটি মডেল অনুসরণ করলে যেভাবে আঘাত হানবে ফণী :