চট্টগ্রামে অভ্যন্তরীণ বিরোধে প্রাণ ঝরলো আরও এক ছাত্রলীগ কর্মীর

চট্টগ্রামের কর্ণফুলি থানার বড়উঠানে ইউনিয়নে এখনও শুকোয়নি ছাত্রলীগ নেতা মামুনের রক্ত, এরই মধ্যে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নগরে প্রাণ ঝরলো আরেক ছাত্রলীগ কর্মী দিদারের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সালাহউদ্দিন লাভলু (২৩) নামে আরও এক ছাত্রলীগ কর্মী।

শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিদারের মৃত্যু হয়।

নিহত মো. দিদার (২৫) মতিঝর্ণা এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে।

সূত্র জানায়, নিহত দিদার ও আহত লাভলু লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী। কিছুদিন ধরে তাদের সঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারীদের বিরোধ চলে আসছিল। আজ সন্ধ্যায় দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন দিদার ও লাভলু। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিদারের মৃত্যু হয়।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ছুড়িকাঘাতে আহত দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এর দেড় ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন দিদারের মৃত্যু হয়।’

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর গ্রামের জমাদর পাড়ায় বাড়ির পাশে রাস্তায় প্রতিপক্ষের ৭-৮ জন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ নেতা মামুন আল রশিদ (২৪) ও বড়উঠান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আজিজকে। তারা মামুনের দেহ থেকে ডান হাত আলাদা করে ফেলে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দুজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।