চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলক মুছে দিল ছাত্রলীগ

চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলক কালি দিয়ে মুছে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসসংলগ্ন জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের দাবিতে এর মূলফটকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করে।

‘চট্টলার সচেতন ছাত্র-যুব সমাজ’ সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় ও মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নামকরণ করার দাবি জানানো হয়।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে নগরীর কাজীরদেউড়ি এলাকায় জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করে ছাত্রলীগ।

‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ছাত্র ফোরাম’ সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলক কালি দিয়ে মুছে দেন তারা।

গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইরফানুল আলম জিকু বলেন, ‘কিছুদিন আগে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রামের জন্য একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। চট্টগ্রামের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন। তার এই মতামতকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের ছাত্রসমাজ এ উদ্যোগ নিল।’

নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি নোমান চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯১ সালে তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৩ সালে সার্কিট হাউসে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর গড়ে তোলে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এই জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করেছেন। তার সিদ্ধান্তকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ণ সমর্থন করেছেন। চট্টগ্রামের ছাত্রসমাজ সেই ক্ষেত্রে ঘরে বসে থাকতে পারে না। আমাদের একটি দল সকালে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলকে থাকা ‘জিয়া’ নামটিতে কালিলেপন করেছেন।’

কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ইসলামিয়া কলেজ, মহানগর, থানা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

এর আগে ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রহিম শামীমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে যদি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তন না করা হয়; তাহলে আমরা আবারও রাজপথে নামব এবং প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করব। প্রয়োজন হলে নাম পরিবর্তনের জন্যে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করব।

নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক রাহুল দাশের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, মো. হেলাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত সিংহ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সরওয়ার আলম মনি প্রমুখ।