চট্টগ্রামে সংঘর্ষে পণ্ড ছাত্রলীগের সম্মেলন, পুলিশের গুলি

আভ্যন্তরীণ কোন্দলে পণ্ড হয়ে গেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। মঙ্গলবার নগরীর ইঞ্জিনিয়িার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই সম্মেলন চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভালোই ভালোই শুরু হয়েছিল সবকিছু। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মঞ্চে আসেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। আসেন আমন্ত্রিত অন্য অতিথিরাও। বেলা সোয়া ১১টায় বাইরে এসে সম্মেলন উদ্বোধন করেন অতিথিরা।

এরপর যথারীতি শুরু হয় অনুষ্ঠান। বেলা পৌনে ১২টার দিকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। তখনই শুরু হয় উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি স্লোগান। তাদের থামাতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন জাকির।

এই উত্তেজনার মাঝেই বক্তৃতা দিতে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাকিব হাসান সৈয়দ। এসময় সম্মেলনকক্ষের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণায় আকস্মিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময় সম্মেলনের বাইরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে মুহূর্তের মধ্যে এখবর সম্মেলনস্থলে ছড়িয়ে পড়লে সেখানেও উত্তেজনা বেড়ে যায়। চলে ভাঙচুর। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে সম্মেলনের বাইরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

বেলা ১২টায় অতিথিরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করে বেরিয়ে যান। সম্মেলনস্থলে ছাত্রলীগের একটি অংশ মঞ্চের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিক্ষোভ করে। রাউজান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ফজলে করিমের পক্ষে তাদের স্লোগান দিতে শোনা যায়।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকালে নগরীর লালদীঘির মাঠে প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।