চামড়া নিয়ে একটি চক্র খেলায় মেতেছে : তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু সেই হিসেবে ট্যানারির সংখ্যা বাড়েনি। এই সুযোগ নিয়ে একটি অসাধু চক্র এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দরপতনের খেলায় নেমেছে।’

তিনি বলেন, ‘চামড়ার দরপতনের খেলায় মেতে ওঠা ওই চক্রকে খুঁজে বের করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।’

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন।

এবারের ঈদে চামড়ার দরপতনে সরকারকে দায়ী করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, দেশের পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। আদমজী জুটমিল কারা বন্ধ করেছিল?

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব পাওয়ার পর অনেকগুলো পাটকল চালু করেছিল। এমনকি পাটকলের মালিকানার অংশ শ্রমিকদের হাতে দেয়া হয়েছিল। আর মির্জা ফখরুল নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নিজের মিথ্যা বলার রেকর্ড নিজেই ভাঙছেন।

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকার আমলে চামড়া শিল্পে রফতানি বাড়ার একটি চিত্র তুলে ধরেন। বলেন, ‘বর্তমানে চামড়ার দরপতনের জন্য শুধু একটি চক্রই দায়ী। তাদের খুঁজে বের করছে সরকার।’

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে চামড়ার মোট চাহিদার বড় অংশই আসে কোরবানির পশু থেকে। আর ঈদের দিন থেকে স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার।

তারল্য সংকটের অজুহাত তোলা হলেও দুই সিন্ডিকেটের কারসাজিতে এ বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের কারসাজিতে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে কম দামে চামড়া কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ আসতে থাকে।

এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ন্যায্য দাম না পেয়ে লক্ষাধিক পিস পশুর চামড়া ফেলে দেন। যার অধিকাংশই মাটির নিচে চাপা দেয়া হয়। কিছু ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। রাস্তায় ফেলে যাওয়া চামড়া পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে কোথাও কোথাও।

আড়তদাররা চামড়া কেনা বন্ধ রাখলে সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিক্ষুব্ধ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অনেক চামড়া সড়কে ফেলে দেন।