চামড়া শিল্পে কোনো সমস্যা নেই, সব সমাধান হয়েছে : শিল্পমন্ত্রী

এবছর এক কোটি চমড়ার মধ্যে মাত্র ১০ হাজার পিস চামড়া গরমের কারণে নষ্ট হয়েছে, যা নগণ্য ব্যাপার বলে উল্লেখ করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বললেন মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, একটি দেশ যখন সম্ভাবনার দিকে আগায়, তা ব্যাহত করতে একটা চক্র কাজ করে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এক কোটি চামড়ার মধ্যে প্রতি বছর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়। এবার যেহেতু গরম পড়েছে, সেজন্যই ১০ হাজার পিস চামড়া নষ্ট হতে পারে।

চামড়া শিল্পে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চামড়ার বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে, আর আজকের বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়েছে। আগামী ২২ তারিখ তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে। এটা গতানুগতিক, এখানে তেমন কোনো সমস্যা নেই। আজকেই সব সমাধান হয়েছে। চামড়া তেমন ওয়েস্টেজ নেই। চামড়া কেনা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

বৈঠকে দেনা পাওনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে কিন্তু তারা পাওনার জন্য কখনও কমপ্লেইন করেনি। সেখানে যে আস্থার বিষয়, সেটি নিয়ে কাজ করেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, তখন তারা না বুঝে পুঁজি হারালে তাদের মাথা নষ্ট হয়। এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই মিডিয়াকে মিসগাইড করেছেন।

তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখানে কাজ করেছে বলে জেলা থেকে যারা এসেছেন তারা জানিয়েছেন। এগুলো আমরা গুরুত্ব দেই না। আমরা এ বিষয়ে সচেতন। এখন চামড়া পুড়িয়ে ছবি দিলে আমাদের কিছু করার নেই।

এসময় চট্টগ্রামে ৩০ ট্রাক চামড়া বিএনপির লোকেরা কিনে রাস্তায় ফেলে দিয়ছে বলে অভিযোগ করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ুন।

এদিকে বকেয়া আদায়ে ট্যানারি মালিকদের কাছে কাঁচা চামড়া বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসছেন আড়তদাররা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চামড়া খাতের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত আসে।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত আজ থেকেই চামড়া বিক্রি শুরু করা হবে।

ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী ও উপদেষ্টা মহোদয় এফবিসিসিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী ২২ অগাস্ট এফবিসিসিআইয়ের উদ্যেগে এ নিয়ে আলোচনা হবে দুই পক্ষের মধ্যে। সেখান থেকেই ফয়সালা করে দেবে।