চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে অর্ধকোটি মানুষ

প্রতিবছর শুধুমাত্র চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়ছেন প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এর মধ্যে যারা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই এর চিকিৎসা করতে গিয়ে হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে পুরোপুরি নি:স্ব হয়ে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষায়িত রোগগুলোর চিকিৎসায় সরকারের উচিত পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরি করা। একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করে দ্রুত সংকট নিরসনের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।

বেচে থাকার এ লড়াই। বন্ধুর পথ, বড্ড ব্যয়বহুল।

কিডনী দুটো গেছে বেশ আগে। বেচে থাকতে ডায়ালাইসিস খরচ মেটাতে গিয়ে মাত্র এক বছরেই পিরোজপুরের মনোয়ারা বেগম এখন পুরো নিঃস্ব। শেষ হয়ে গেছে জীবনের শেষ সঞ্চয়, গেছে স্বামীর শেষ ভিটে মাটিও।

গোপালগঞ্জের লাবনীর গল্পটাও অনেকটা একই রকম। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন গ্যাস্ট্রিক ও লিভার জটিলতায়। আর এতেই বাবা, স্বামীর সব জমি বিক্রি শেষেও আজ তার চিকিৎসা অনিশ্চিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব শেষ হিসেব বলছে, প্রতিবছর দেশে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে। সরকারের পক্ষ থেকে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। এর উপর বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বাণিজ্যিক মানসকিতা সব ধরনের নৈরাজ্য কে ছাড়িয়ে যায়।

বছরের পর বছর ধরে চলছে এই প্রহসন। বিশেষজ্ঞদের মতে এর দায়িত্ব সরকারের। কতটা প্রস্তুত তারা?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এ. বি. এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর একটাপ নীতিমালাতো থাকতেই হবে।’