চিটাগংয়ের জয়রথ ছুটছেই, হারের বৃত্তে খুলনা

খুলনা টাইটান্সকে ২৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চিটাগং ভাইকিংস। এর ফলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল খুলনা বন্দি রয়ে গেল হারের বৃত্তেই। আসরে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে চিটাগং তুলে নিল চতুর্থ জয়। আর নিজের ৭ ম্যাচের ৬টিই হারল খুলনা।

চিটাগংয়ের দেয়া ২১৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় খুলনা টাইটান্স। দলীয় ১৮ রানেই দলটি হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান পোল স্টার্লিং, আল আমিন ও জুনায়েদ সিদ্দিকীকে। সেই আপ সামাল দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ব্রেন্ডন টেলর। ক্রিজে টিকে থাকার পাশাপাশি রানের চাকার গতিও সচল রাখেন দুজন। ১৬ বলে ২৮ রান করে টেলর বিদায় নিলে খেই হারান রিয়াদও। তিনটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ঠিক ৫০ রান করেই তিনি ফেরেন সাজঘরে। রিয়াদের বিদায়ের পর আরিফুল হকও আউট হয়ে যান। ৬ উইকেট হারিয়ে হার অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়েছিলেন ডেভিড উইজ ও তাইজুল ইসলাম। তবে তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ওয়াইজ ২০ বলে ৪০ রান করে ফেরেন সাজঘরে, তাইজুল অপরাজিত থাকেন ২২ রানে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারানো খুলনা সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৮ রান।

এরআগে চলতি বিপিএলে প্রথমবারের মতো দুইশ রানের গন্ডি পার করে চিটাগং ভাইকিংস। হারের বৃত্তে ধুঁকতে থাকা খুলনা টাইটান্সের সামনে রানের পাহাড় তুলে দিলো তারা। মাত্র ৩ রানের জন্য বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেডর্ক ছুঁতে পারল না মুশফিকের দল। ২০১৩ সালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটসের করা ২১৭ রান এখন পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সে হিসেবে চিটাগংয়ের ২১৪ রানই বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।

সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে এ সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেনি তার বোলাররা। যদিও শুরুতেই ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টকে ১৩ রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম। এরপর মোহাম্মদ শেহজাদ ফেরেন ৩৩ রানে। তবে তারপর ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ইয়াসির করেন ৫৪ রান। ২৯ বলে অর্ধশতক হাঁকানো মুশফিক ফেরেন ৫২ রানে। শেষ দিকে ঝড় তোলেন দাসুন সানাকা। ১৭ বল খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।

স্কোর:
চিটাগং ভাইকিংস: ২১৪/৪ (২০)
মোহাম্মদ শেহজাদ ৩৩ (১৭)
ক্যামেরন ডেলপোর্ট ১৩ (১২)
ইয়াসির আলী ৫৪ (৩৬)
মুশফিকুর রহিম ৫২ (৩৩)
দাসুন সানাকা ৪২ (১৭)
নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৬ (৫)

বোলার:
শুভাষিস রয় (৪-০-৩৮-০)
লাসিথ মালিঙ্গা (৪-০-৪৪-০)
শরিফুল ইসলাম (৩-০-৪৭-১)
তাইজুল ইসলাম (৪-০-৪৫-১)
ডেভিড ওয়াইসি (৪-০-২৬-২)
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১-০-১৩-০)

খুলনা টাইটান্স: ১৮৮/৮ (২০)
পল স্টার্লিং ০ (২)
জুনায়েদ সিদ্দিকী ১২ (৮)
আল-আমিন ৫ (৮)
ব্রেন্ডন টেইলর ২৮ (১৬)
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫০ (২৬)
আরিফুল হক ১১ (১৩)
তাইজুল ইসলাম ২২* (২১)
শরিফুল ইসলাম ৯ (৪)
লাসিথ মালিঙ্গা ৫* (২)

বোলার:
আবু জায়েগ (৪-০-৩৩-৩)
খালেদ আহামেদ (৪-০-২৯-২)
সানজামুল ইসলাম (৪-০৪৬-০)
দাসুন সানাক (২-০-৩২-০)
নাঈম হাসান (২-০-২২-১)
ক্যামেরন ডেলপোর্ট (৪-০-২৫-২)

চিটাগং ভাইকিংস ২৬ রানে জয়ী।